জন্মদিন তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
শরণাগত সম্প্রদায়ের সকল সদস্য/ভক্ত তথা আত্মার আত্মীয়দের প্রতি নিবেদন,
জন্মদিন - প্রতিটি বছর এই দিনটি খুব আনন্দের।.কেন বলো তো?এই দিনটাতেই আমরা আমাদের পরম ধামে পৌঁছনোর দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাই। জন্ম ছিল দুঃখ্যের -কারণ তখন জানতাম -অনেকদিন থাকতে হবে এই মায়ার জগতে। করতে হবে অনেক কাজ। সামনে অনেক কর্তব্য ছিল তখন.কিন্তু প্রতি বছরের সাথে সাথে সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আর জানোই তো,আমার এ ধুপ না পোড়ালে গন্ধ কিছুই নাহি ঢালে।তাই নিজেকে পোড়াতে হয় বৈকি প্রতিনিয়ত। বর্তমানে ৪৫এ পৌঁছে তাই আমি আনন্দিত। কাজ অনেকটাই হয়েছে।আরো অনেকটা বাকি।এগতে হবে আরও অনেকটা পথ.তারপরই যে দেখবো সেই আলোর সমুদ্র।সেখানে নিজেকে সপে দিয়ে এই ধারার পথ চলার সমাপ্তি হবে.নদী সাগরে মিশে সাগর হয়ে যাবে। তাই আজ আমার আর কিছু পাওয়ার নেই জীবন থেকে। কোনদিন চাইনি তো কিছু। তাই যা পেয়েছি এইতো অনেক। তবে আরও কিছু দেয়ার আছে। নিজে আলোর মধ্যে মিশে যাওয়ার আগে আরো কিছু আলোর দিশারী রেখে যেতে চাই। সেই পালা ফুরালেই আমার ছুটি। সবাইকে অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। ভালো থেকো .. শুভেচ্ছাসহ তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায়সম্পাদকের টেবিল থেকে খোলা চিঠি,
শরণাগত সম্প্রদায়ের সকল সদস্য/ভক্ত তথা আত্মার আত্মীয়দের প্রতি নিবেদন,
আজ ৫ই জুন। একটি বিশেষ পুণ্যলগ্ন, শরণাগত সম্প্রদায়ের প্রাণপুরুষ শ্রী তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের পুণ্য জন্মদিবস। না না ,দাদার সম্পর্কে গৌর চন্দ্রিকা করার জন্য এই পত্রের অবতারণা নয়। কারণ সবাই তা জানেন। আর এইটা করার মতো যোগ্যতা বা ধৃষ্টতা আমার নেই। অনেকেই আমাকে বলেছেন,ভক্ত/পরিচিত/বন্ধু-বান্ধব/আত্মীয়/অনুরাগী/ধার্মিক, যে দাদার মতো ব্যক্তিত্ব, যিনি আধ্যাত্মিকতার একটি বিশেষ উচ্চস্থানে বিরাজ করছেন,তিনি social media তে এতটা সময় দেন কি করে? আসলে তারা জানতে চেয়েছিলেন যে, তাঁর পক্ষে facebook/ what's app এ উপস্থিত থাকাটা কি বিসদৃশ নয়?ঠিক এই প্রায় অনুচ্চারিত না বলা প্রশ্নের উত্তর দিতেই আজ কলম তুলে নেওয়া। আপনারা জানেন এখন digital যুগ। সবকিছুই electronic media নির্ভর। বর্তমান যুগে প্রায় সকল সমাজ সংস্কারমূলক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানই এই digital media তে নিজেদের উপস্থাপিত করেছে। কিন্তু তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য হল, একমাত্র শরণাগত সম্প্রদায়তেই সম্প্রদায়ের প্রাণপুরুষ শ্রী তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায় নিজে সকল বিষয় তত্ত্বাবধান করেন,যা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে হয় না সাধারনতঃ। আমাদের সম্প্রদায় বড় না হলেও ক্ষুদ্র সামর্থ্যে এগিয়ে চলেছে দাদার প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণে সকল মলিনতাকে দূরে সরিয়ে রেখে। আপনারা জানেন, যুগের প্রয়োজনে ভগবানকেও কখনো কুঠার, কখনো ধনুর্বাণ,কখনো চক্র, কখনো বরাভয়, কখনো অসি বা কখনো লেখনী মস্যাধার তুলে নিতে হয়েছিল বা হবে চাহিদা অনুযায়ী। তাই বর্তমান যুগেও social media র উপস্থিতি অনস্বীকার্য । আর এই media কেই দাদা সুচারু ভাবে কাজে লাগিয়েছেন অগণিত মানুষের আধ্যাত্মিক কল্যাণে দৈব নির্দ্দিষ্ট হয়ে তাদের আত্মার উত্তরণে, অবিদ্যা থেকে পরাবিদ্যার পথপ্রদর্শনে অত্যন্ত বিচক্ষণ ভাবে, যাকে বলে Optimum Utilisation। কিন্তু কখনোই এই মাধ্যমকে ব্যবহার করেননি নিজের বা সম্প্রদায়ের অর্থকরী উন্নয়নের সোপান হিসেবে, আমাদেরও তিনি সেরকমই নির্দেশ দিয়েছেন। দাদার অতি হিতাকাঙ্ক্ষী দুর্জনেরাও এই অভিযোগ করতে সাহস পান না। আর কি আশ্চর্য্য, দুনিয়া জোড়া এই জালের রাজ্যে আমেরিকা থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ভারতভূমি ও বাংলাদেশে ছড়িয়ে থাকা নানান ভক্ত কত সহজেই সৎসঙ্গ লাভ করছেন শুধুমাত্র দাদার কল্যাণে। দাদা তাঁর অতি অমূল্য সময় বরাদ্দ করেন ভক্তদের জন্য গীতা পাঠে, সৎসঙ্গে , গ্রন্থ রচনায় ও আরও নানান ভাবে। সত্যি বলতে কি, এখন ঘুমোনোর সময়টুকু বাদ দিলে প্রায় সবসময়ই সৎসঙ্গ হচ্ছে। এবং এর মাধ্যমে যে অসংখ্য অগণিত ভক্ত উত্তরণের দিকে যাচ্ছে, বোধকরি সরাসরি ব্যক্তিগত প্রয়াসে এই উদ্যোগ আশ্রম নিলেও তার প্রভাব এত সার্বিক হতো না, এত সুদূরপ্রসারী হতো না। দাদাকে যারা খুব কাছ থেকে দেখেছেন, তারা জানেন,যে দাদার এসব কিছুরই প্রয়োজন নেই। নাম-যশ-অর্থ-খ্যাতি কিছুরই না, কারণ যারা সেই ব্রহ্মানন্দের আস্বাদন করেছেন , তারা সেই ব্রহ্মানন্দেই মগ্ন থাকতে চান। তাতেই সার্থকতা। কিন্তু দাদা তারপরেও আমাদের সকলের কথা ভেবে, এত সময় দিয়ে আমাদের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য সচেষ্ট হয়েছেন আজকের যুগের মতো করে social media কে অত্যন্ত সুন্দর ভাবে ব্যবহার করে। আমার নিজের ধারণা বলতে পারি, social media কেও যে এভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, সেটা দাদা না জানালে যে জানতেই পারতাম না। এরজন্য সমগ্র ভক্তকুলের তরফ থেকে দাদার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। জন্মদিনের পুণ্যলগ্নে দাদার শ্রীচরণে প্রণাম জানিয়ে শেষ করছি। জয় শ্রীকৃষ্ণ । সম্পাদক, শরণাগত সম্প্রদায়।শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ [ श्रीमद भगवद पाठ ] (ভাগবত পাঠ) - তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ [ श्रीमद भगवद पाठ ] (ভাগবত পাঠ) - তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
Shrimad Bhagwat Path by Shri Tarashis Gangopadhyay
জয় মা তারা পাবলিশার্সের প্রকাশিত গ্রন্থ
সাধক সাহিত্যিক ও ক্রিয়াযোগী তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্ল্যাসিক সৃষ্টি
Books of Tarashis Gangopadhyay
জয় মা তারা পাবলিশার্সের প্রকাশিত গ্রন্থ
সাধক সাহিত্যিক ও ক্রিয়াযোগী তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্ল্যাসিক সৃষ্টি
Free PDF Books of Tarashis Gangopadhyay
All books are available in :
You can also purchase our books directly from Collegestreet in these bookstores
Our online book distributors are -